যুবকটির কোনও চাকরি নেই

এই যুবকটির কোনও চাকরি নেই
সমস্ত দিন- সমস্ত রাত- তার হাতের জিনিস;
কিন্তু এই দীর্ঘ অবসর হাঁপানি-রুগির নিষ্ক্রিয় রাত-জাগার মতো।

সে চাকরি খোঁজে না আর
কারণ, মা বেরিবেরিতে মারা গেছেন; বাবা কুষ্ঠাশ্রমে; একা সে।
এরা দু’জনে পরামর্শ ক’রে কেন-যে তাকে জন্ম দিয়েছিল
কিন্তু তবুও অজস্র সন্তানের জন্ম দেবার জন্য আবেগ আসে তার হৃদয়ে
এই তুচ্ছ, সামান্য, কুৎসিত, অথচ স্বর্গীয় ব্যবহারের জন্য
চাকরির প্রয়োজন;
কিন্তু তার চেয়েও প্রয়োজন ভাতের জন্য
বড়-বড় ইঁদুর পাইপের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে
মেসের এঁটো থালার ভাত খেয়ে জ্যামিতির প্রমাণ শেষ ক’রে- তার পর দাম্পত্যের গর্তে প্রবেশ করে।

রাস্তায় বেরুলে কুঠে তাকে সেলাম করে- একটি পয়সার জন্য

এই হাত তার- এই হৃদয়
জীবনের কঠিন সঙ্গতিকে অসঙ্গত হতে দেয় না।
এমন-কী- কোনও দিন চাকরি না পেলেও;
তবুও চাকরি তোমাকে পেতে হবে
কারণ, জীবনের সঙ্গতির ভিতর অসঙ্গত হতে পারবে না তুমি,

হে যুবক, চাকরি তুমি পাও আর না পাও-
কলকাতার ট্রাম-বাস-বোঝাই কেরানির দল
কিংবা টেলিফোন-ডাইরেক্টরির ভিতরে ঈশ্বরের শত কোটি নাম
দেব-ভাষায় তাকে বলে।