কার্তিকের ভোরবেলা

কার্তিকের ভোরবেলা ধানের গুচ্ছের ছড়ি ছুঁয়ে যেতে-যেতে
সকাল দুপুরবেলা হয়ে গেল- এখানে সময়
এমনই স্তব্ধতা হতে অধিক নীরব আরও হয়।
একটি চাতক-পাখি হলুদ ধানের থেকে নীলিমায় উড়ে
মিশে গেছে পুনরায়- এখুনি আবার দেখা দিয়ে যাবে ক্ষেতে।

একাকী সে আকাশ ও বিবর্ণ মাঠের
মাঝ-পথে অফুরন্ত রৌদ্রের অবাধ তিমিরে
একটি নারীর মতো আলো-হাতে উঠে গেছে ধীরে
প্রয়োজন নেই ব’লে তার দিকে পিছ ফিরে আমি
চেতনা ফুরায়ে দিয়ে পিছনে না ফিরে
হতে গিয়ে তবু নীল আকাশের কোলে আশাশীল
একটি চাতক-পাখি উড়ে গেল- দেখে-দেখে- কী রকম ভাবে
অপার ক্ষান্তি নীড়ে কোথাও রয়েছে মনে পড়ে।

রাত্রি-দিনে দুপুরের নয়া ধান, রোদের ভিতরে
অন্বেষণ ক’রে নিলে জরিপের ফিতে
কেবলই জড়ায়ে যায় সোনালি জড়িতে
অসম্ভব রৌদ্রের, সাঙ্কো’র ঘোড়ার-
পাখিটি ঘনায়ে এসে তবুও উজাতে ভুল করে।