খানিকটা দূরে

খানিকটা দূরে লাইন- রেলের কঠিন লাইন সব
অন্ধকারে রয়েছে নীরব
এখানে ঘাসের ‘পরে শুয়ে আছি কার্তিকের অন্ধকার রাতে
অসংখ্য আলোর বিন্দু নেভাতে-নেভাতে
আবার জ্বালায় বারে-বারে
নক্ষত্রেরা- আকাশের এ-পারে ও-পারে।
হঠাৎ ট্রেনের লাইন কেঁপে ওঠে: হিসহিস- চারি-দিকে রূঢ় কলরব
এক সারি গাড়ি আলো কালো ধোঁয়া বিদ্রূপ বিপ্লব-
তবুও যখন তার লাল আলো মুছে গেল দূর কুয়াশায়
পৃথিবীর আদি দায় অনাদির দায়
খানিকটা লাল নীল আলো
লজেনচুষের মতো গ’লে-গ’লে ক্ষীণ শিশু মৃত্যুতে হারালো।

শতভিষা । শরৎ ১৩৮৪



[আবু হাসান শাহরিয়ার তার সম্পাদিত ‘জীবনানন্দ দাশের গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত কবিতাসমগ্র (২০০৮)’ গ্রন্থে এই কবিতার শিরোনাম দিয়েছেন ‘জর্নাল: ১৯৩৪’ যদিও পাণ্ডুলিপিতে এর শিরোনাম না থাকায় প্রথম লাইনকে শিরোনাম হিসেবে রাখা হলো।]