কখন সোনার রোদ

কখন সোনার রোদ নিভে গেছে- অবিরল শুপুরির সারি
আঁধারে যেতেছে ডুবে- প্রান্তরের পার থেকে গরম বাতাস
ক্ষুধিত চিলের মতো চৈত্রের এ-অন্ধকারে ফেলিতেছে শ্বাস;
কোন্ চৈত্রে চ’লে গেছে সেই মেয়ে- আসিবে না, ক’রে গেছে আড়ি:
ক্ষীরুই গাছের পাশে একাকী দাঁড়ায়ে আজ বলিতে কি পারি
কোথাও সে নাই এই পৃথিবীতে- তাহার শরীর থেকে শ্বাস
ঝ’রে গেছে ব’লে তারে ভুলে গেছে নক্ষত্রের অসীম আকাশ,
কোথাও সে নাই আর- পাব না ক’ তারে কোনও পৃথিবী নিঙাড়ি?

এই মাঠে- এই ঘাসে- ফল্‌সা এ-ক্ষীরুয়ে যে গন্ধ লেগে আছে
আজও তার; যখন তুলিতে যাই ঢেঁকিশাক- দুপুরের রোদে
সর্ষে খেতের দিকে চেয়ে থাকি- অঘ্রানে যে ধান ঝরিয়াছে,
তাহার দু’-এক গুচ্ছ তুলে নিই, চেয়ে দেখি নির্জন আমোদে
পৃথিবীর রাঙা রোদ চড়িতেছে আকাঙ্ক্ষায় চিনিচাঁপা গাছে-
জানি সে আমার কাছে আছে আজও- আজও সে আমার কাছে আছে।