কখনও নক্ষত্রহীন

কখনও নক্ষত্রহীন কুয়াশার রাতে
বাইরের ঝড়ের ঝাপসা আলোড়নের
অন্ধকার থেকে পাখি বাতির আলোয় উজ্জ্বল
ঘরের ভিতর ঢুকে দু’-মুহূর্ত ব্যথা চিন্তা ভালোবাসা ভরা
মেঝেয় লক্ষ্মীর আলপনা মেয়েদের
দেয়ালে ফ্রেস্কোর মূল্য বুঝে নিতে চেয়ে
ধুকধুকে বুকের অন্তত শূন্যে তার
টের পায়- টের পায় যদি
একটি বিদ্যুৎ শুধু মানুষের মতো চেতনার
দেখা দিয়ে মিলোবার আগে
ব্যক্ত ক’রে যায় বুদ্ধ পতঞ্জলি জানে নি যে মানে,
আমিও অনেক দিন পরে আজ তেমনই সজ্ঞানে
তোমার- আমার- এই পৃথিবীর কারণের দিকে চেয়ে আছি;
ফল নয়- কোনও নিরসন নয়- দু’-জনের খুব কাছাকাছি
আসা নয়- শুধু সময়ের সাদা-কালোর সাগরে
জল যেন ক্রমে শূন্য অন্ধ হয়ে ঝরে;
তোমাকে আমাকে স্থির নিঃশব্দ করে।

পূর্বাশা। জ্যৈষ্ঠ ১৩৬১