কখনও ভোরের রাতে

কখনও ভোরের রাতে- বনের মোরগ সে-ও ওঠে না ক’ ডেকে
অথবা বিকেলবেলা যখন গরম হয়ে আকাশের মেঘে
লেগে আছে- ছটফট ক’রে ওঠে উঠোনের মোরগের পাখা
এইখানে আসি আমি; শব্দ নাই- ভূতের গায়ের ঘ্রাণে মাখা
আমার দেহের গন্ধ- পৃথিবীর কোনও এক আরশিতে এসে
তার মুখ ওঠে না ক’ ভেসে
গভীর গরম রাতে মাছির পাখার মতো হৃদয়েরে তুলে
এই ভাঙা দেওয়ালের বাড়ির মেঝের পথে পথ ভুলে-ভুলে
এইখানে চ’লে আসি
আমি ভূত: ম’রে গিয়ে মেঝের উপরে ভূত বেঁচে থাকে, জানো
যদিও গরম রাতে অন্ধকারে হবে না ক’ মশারি টাঙানো
মানুষের মতো হাতে- আর আমি ঘুমাব না পাখার বাতাসে
আমার মুখের ঘামে কালো হয়ে ভিজে মেয়েমানুষের পাশে
মাঝের কোঠায় কারা ঘুমায়ে রয়েছে ঢালা বিছানার ‘পরে
ঘরের ভিতর থেকে ঢুকে যাই আরও এক ঘরের ভিতরে
চারকোনা জানালার কাচে নীল আকাশ রয়েছে অই মিশে
পৃথিবীতে কেউ আর নাই ব’লে আমায় দেখিতে আছে কি সে
কোথাও নাই কি কেউ? এইখানে মানুষের ঘামে আর মাছি
বসে না কি? কিছু নাই? মেঝের উপরে ভূত হয়ে আমি আছি?
কেউ নাই?- এক স্লাইস বাসি পাঁউরুটি নিয়ে দেরাজের ধারে
একটি ইঁদুর তাই খুট-খুট খুট-খুট করে অন্ধকারে?