কোনও দিন দেখিব না

কোনও দিন দেখিব না তারে আমি; হেমন্তে পাকিবে ধান, আষাঢ়ের রাতে
কালো মেঘ নিঙড়ায়ে সবুজ বাঁশের বন গেয়ে যাবে উচ্ছ্বাসের গান
সারারাত,- তবু আমি সাপচরা অন্ধ পথে- বেণুবনে তাহার সন্ধান
পাব না ক’: পুকুরের পাড়ে সে যে আসিবে না কোনও দিন হাঁসিনীর সাথে,
সে কোনও জ্যোৎস্নায় আর আসিবে না- আসিবে না কখনও প্রভাতে,
যখন দুপুরে রোদে অপরাজিতার মুখ হয়ে থাকে ম্লান,
যখন মেঘের রঙে পথহারা দাঁড়কাক পেয়ে গেছে ঘরের সন্ধান,
ধূসর সন্ধ্যায় সেই আসিবে না সে এখানে;- এইখানে ধুন্দুল লতাতে

জোনাকি আসিবে শুধু; ঝিঁঝিঁ শুধু সারারাত কথা কবে ঘাসে আর ঘাসে
বাদুড় উড়িবে শুধু পাখনা ভিজায়ে নিয়ে শান্ত হয়ে রাতের বাতাসে;
প্রতিটি নক্ষত্র তার স্থান খুঁজে জেগে রবে প্রতিটির পাশে
নীরব ধূসর কণা লেগে রবে তুচ্ছ অণুকণাটির শ্বাসে
অন্ধকারে- তুমি সখি চ’লে গেলে দূরে তবু;- হৃদয়ের গভীর বিশ্বাসে
অশ্বত্থের শাখা ঐ দুলিতেছে; আলো আসে, ভোর হয়ে আসে।