কোনও এক জ্ঞানময়

কোনও এক জ্ঞানময় অতীতের ধূসর পুস্তকে
এক দিন আমিও পড়েছি (এই কথা)
অনেক ধবল পাখি সহসা সূর্যের লোকে ঢের দূর থেকে
দেখা দেয় সমুদ্রের বুকের উপরে নীল ক্ষিতিজ রেখায়
কখনও ফেনার মতো মনে হয় তাহাদের
জলের বিষণ্ন মাইলে দয়াপরবশ সাদা মোম
বসন্তের ভোর পেয়ে ধীরে-ধীরে হতেছে গরম
আকাশের চেয়ে কাছে সাগরের নিজ ব্যক্তিগত নীলিমায়

কখনও-বা পাখি ব’লে আধো চেনা যায়
আলোর ফিকিরে মূঢ় মানুষের চোখ
সত্য আর অনৃতের ভেদ-রেখা পায় না ক’ টের
সরল সূর্যের রঙে বসন্তের ভোরবেলা সেই সব পাখি
মনে হয় কোনও দিকে নেই আর
সিন্ধুর বাতাসে তবু পালকের ঘ্রাণ লেগে থাকে
হৃদয়ে আলোর এক গুরুতর ফাঁকি।

পুনরায় শীত-রাত শেষ হলে আজ
এইখানে নাসপাতি-গাছের ছায়ায়
আমিও তোমার কথা টের পাই সারা-ভোর ব’সে
আমার চোখের নিচে ভিখিরিরা পৃথিবীর ন্যায়-অন্যায়
গুনে যায়- ঢের দূরে শহরের সাদা রোদ ছুঁয়ে
কালো চালুনির থেকে বিলীন ক্বাথের মতো চুঁয়ে
নির্জন হেঁয়ালি সব-
আজ এই বসন্তের স্পর্শসহ ভোরে
আমি, তুমি, ভিখিরিরা ধবল পাখির মতো ওড়ে
কোথাও ছিল না ব’লে কোনও দিন; আলোর অসীম মুদ্রাদোষে।