কোথাও দেখিনি

কোথাও দেখি নি, আহা, এমন বিজন ঘাস- প্রান্তরের পারে
নরম বিমর্ষ চোখে চেয়ে আছে- নীল বুকে আছে তাহাদের
গঙ্গাফড়িঙের নীড়, কাঁচপোকা, প্রজাপতি, শ্যামাপোকা ঢের,
হিজলের ক্লান্ত পাতা- বটের অজস্র ফল ঝরে বারে-বারে
তাহাদের শ্যাম বুকে- পাড়াগাঁর কিশোরেরা যখন কান্তারে
বেতের নরম ফল, নাটা ফল খেতে আসে, ধুন্দুল বীজের
খোঁজ করে ঘাসে-ঘাসে- বক তাহা জানে না ক’, পায় না ক’ টের
শালিখ খঞ্জনা তাহা- লক্ষ-লক্ষ ঘাস এই নদীর দু’-ধারে

নরম কান্তারে এই পাড়াগাঁর বুকে শুয়ে সে কোন্ দিনের
কথা ভাবে; তখন এ-জলসিড়ি শুকায় নি, মজে নি আকাশ,
বল্লাল সেনের ঘোড়া- ঘোড়ার কেশর ঘেরা ঘুঙুর জিনের
শব্দ হত এই পথে- আরও আগে রাজপুত্র কত দিন রাশ
টেনে-টেনে এই পথে- কী যেন খুঁজেছে, আহা, হয়েছে উদাস;
আজ আর খোঁজাখুঁজি নাই কিছু- নাটা ফলে মিটিতেছে আশ-