কোথাও মাঠের কাছে

কোথাও মঠের কাছে- যেইখানে ভাঙা মঠ নীল হয়ে আছে
শ্যাওলায়- অনেক গভীর ঘাস জ’মে গেছে বুকের ভিতর,
পাশে দীঘি মজে আছে- রূপালী মাছের কণ্ঠে কামনার স্বর
যেইখানে পটরানী আর তার রূপসী সখীরা শুনিয়াছে
বহু-বহু দিন আগে- যেইখানে শঙ্খমালা কাঁথা বুনিয়াছে
সে কত শতাব্দী আগে মাছরাঙা-ঝিলমিল- কড়ি খেলা ঘর;
কোন্‌ যেন কুহকীর ঝাঁড়ফুঁকে ডুবে গেছে সব তারপর;
একদিন আমি যাব দু’-পহরে সেই দূর প্রান্তরের কাছে,

সেখানে মানুষ কেউ যায় না ক’- দেখা যায় বাঘিনীর ডোরা
বেতের বনের ফাঁকে- জারুল গাছের তলে রৌদ্র পোহায়,
রূপসী মৃগীর মুখ দেখা যায়,- সাদা ভাঁট পুষ্পের তোড়া
আলোক-লতার পাশে গন্ধ ঢালে দ্রোণফুল বাসকের গায়;
তবুও সেখানে আমি নিয়ে যাব একদিন পাটকিলে ঘোড়া,
যার রূপ জন্মে-জন্মে কাঁদায়েছে আমি তারে খুঁজিব সেথায়।