কোথাও রাত্রিতে এক সমুদ্রের পারে

কোথাও রাত্রিতে এক সমুদ্রের পারে আছে বন্দরের ঘুম
সেখানে ভূতেরা থাকে- অন্ধকারে- বহুতর জাহাজকে নিয়ে
আয়োজন ক’রে যায়- আমাদের জানালার থেকে তিন বার
তিন ধনু দূরে গেলে সেই সব অকৃত্রিম বামনের দেখা
পাওয়া যায় পিচের মতন কালো অন্ধকারের স্থির ঘ্রাণে
মৌসুমি মেঘের নিম্নে তাহাদের জাহাজের অনর্গল দড়ি
কেবলই অস্পষ্ট ভাবে ন’ড়ে যায়- তাহাদের নিটোল বধির পিঠে তেল
মাঝে-মাঝে হাওয়ার ভিতরে জ্ব’লে প্যারাফিন-আলোর মতন
নিভে যায়- মনে হয় সমুদ্রের গন্ধ, ধূমা, অন্ধকার কেরোসিন-বাতি
জাহাজের ভিজে কাঠে অবিরল শামুকের ঘুম
ঘুম ছাড়া পৃথিবীতে কাহারও হৃদয়ে কিছু নাই আর
সর্বদাই মাস্তুলের কোণে মেঘ চারি-দিকে আকাশের থেকে
কিছু বেশি কালো- গোল- সর্বদাই উত্তরের হাওয়া
ক্ষীণ;- জাহাজের কোনও এক শেষ জানালার কালো জালির ভিতরে
নীড় তার;- চারি-দিকে অগণন দড়ির বুনুনি নেড়ে কেউ
বোঝে না কেন এ-দড়ি ঘুরে গেছে মাকড়জালের মনীষায়
মাথার উপরে মেঘ- সমুদ্রের জলপাই-মলিন পরিধি
জল নয়;- বস্তুত কোথাও জল নেই কোনও দিন।