কত দিন তুমি আর

কত দিন তুমি আর আমি এসে এইখানে বসিয়াছি ঘরের ভিতর
খড়ের চালের নীচে, অন্ধকারে- সন্ধ্যার ধূসর সজল
মৃদু হাত খেলিতেছে হিজল জামের ডালে- বাদুড় কেবল
করিতেছে আসা-যাওয়া আকাশের মৃদু পথে;- ছিন্ন ভিজে খড়
বুকে নিয়ে সনকার মতো যেন প’ড়ে আছে নরম প্রান্তর;
বাঁকা চাঁদ চেয়ে আছে;- কুয়াশায় গা ভাসায়ে দেয় অবিরল
নিঃশব্দ গুবরে পোকা- সাপমাসী- ধানী শ্যামাপোকাদের দল;
দিকে-দিকে চালধোয়া গন্ধ মৃদু- ধূসর শাড়ির ক্ষীণ স্বর

শোনা যায়- মানুষের হৃদয়ের পুরোনো নীরব
বেদনার গন্ধ ভাসে- খড়ের চালের নীচে তুমি আর আমি
কত দিন মলিন আলোয় ব’সে দেখেছি বুঝেছি এই সব;
সময়ের হাত থেকে ছুটি পেয়ে স্বপনের গোধূলিতে নামি
খড়ের চালের নীচে মুখোমুখি ব’সে থেকে তুমি আর আমি
ধূসর আলোয় বসে কত দিন দেখেছি বুঝেছি এই সব।