কয়েকটি দার্শনিক সংঘের অভাব

জানি আমি এই দিকে- অই দিকে- কয়েকটি দার্শনিক ছিল
মনে হয় যেন তারা প্রকৃতির অন্তঃসত্ত্বা পাণ্ডুলিপি থেকে
কয়েকটি মূল্যবান পাতা তুলে নিয়ে
চ’লে গেছে নিখিলের সমাধান দেখে

প্রশান্ত তাদের আত্মা আজ রাতে- যেন ঐ টেবিলের ‘পরে
আমার নিঝুম কালো কলমের মতো
সূচিমুখ চিন্তার হাত ছেড়ে দিয়ে
খেতেছে গভীর ঘুম- খেতেছে গভীর আরও ঘুম- আপাতত

অনেক ইশারা তারা পেয়েছিল পৃথিবীতে বেঁচে থেকে- বহু দিন-
একটি কমলালেবু, পিচ-ফল, মহিলার মুখ তুলে নিয়ে
কিংবা ভিখিরির হাতে দিতে গিয়ে- কোথায় বৃত্তের রেখা শুরু হল- মুদ্রার
শেষ হল- এই প্লুত নিষেবনে গেছিল হারিয়ে।

আলোর গতির চেয়ে বেগবান হয়ে গেল তবু তারা- ক্রমে-
কর্কশ নখর দিয়ে যতই বুলাই আমি ব্রহ্মাণ্ডের ন্যূব্জ পিঠ অযুত আলোকবার্ষিকীর
তারা ঘুম; আমার কলম- জুতো- আজ এই স্তব্ধ রাতে তাদের প্রতিভূ যদি হয়
স্বর্গ মর্ত্য রসাতল ঘুরে ঘোর মাংস নিয়ে, হে হৃদয়, হবে না নিবিড়?