কৃষ্ণচূড়ার পাতা উড়ে যায়

কৃষ্ণচূড়ার পাতা উড়ে যায় গুঁড়ি-গুঁড়ি পতঙ্গের মতো
সোনাল-ফুলের ভিড়ে ক্রমেই হলুদ হয় ঘাস
হঠাৎ বিষম হাওয়া উড়ে আসে অন্ধ ঝড়ের
তা-দেওয়া ডিমের থেকে খ’সে যায় হাঁস

তুমিও আমার কাছে বসেছিলে- মনে হয়েছিল
ক্রমশই কাছে মনে হয়
দূরের বৃষ্টির গন্ধ
আকাশের শূন্য হৃদয়

পুকুরের আড়া-আড়ি পানফল নিবিড় সবুজ হয়ে আছে
বরফের মতো ঠান্ডা ধূসর চাপেলি-মাছ একা
সহসা বৃষ্টির গন্ধে উড্ডীন হয়ে
মদির ফলের গায়ে মড়কের রূপারোপ রেখা

কেটে গেল- ডুবে গেল- যেমন শতাব্দী ডুবে যায়
তার পর মাতাদের কার্যাবলি কদাচিৎ অনুমান করে
তবুও সময় সীমা নিয়ে আইনস্টাইনের মুখোমুখি
পুকুর চাপেলি-মাছ পানফল বৃষ্টির জল সকলই সময় কেবলই

যদিও এখন আমি খেত মাঠ বাহিরের প্রণয়ের চেয়ে
টেবিলে মোমের কাছে গ্রন্থ ভালোবাসি
তবুও মাঠের ঘাস গাধার কানের মতো যখন সুদীর্ঘ হয়ে গেছে
নিতান্ত বধির ব’লে যখন দেবতাদের নামায়ে দিয়েছে দেবদাসী

আমি তাকে খুঁজে নেব নয় বার নয় ধনু দূরে এক মায়াবীর পথে
পৃথিবীর মানুষের সাধারণ হৃদয়ের মাঝে
(পৃথিবীর) সুত-মিত-রমণী সমাজে খুঁজে নেব
খুঁজে নেব পৃথিবীর সুত-মিত-রমণী সমাজে।