কুহুলিন

এইখানে অন্ধকার রচনা করেছে তার সপ্রতিভ মুখের পৃথিবী
এইখানে শীতের বাতাস
মৃদু উষ্ণতার সাথে মিশে কামিনী ফুলের মতো যেন বারো মাস।
(ঢের দূর- অশরীরী) মৃত রূপসীদের সব সমাধিতে-
কিছুই লুণ্ঠিত হবে নাকো আর- এমন আভাস।

এখানে শিশির ঝরে দূরবীন-অগোচর কুহুলিন নক্ষত্রের থেকে
কোথাও নেই ক’ কোনও পাখি।
মিরুনি নদীর জলে বৃহস্পতি, মঙ্গল, মৃগশিরা ভেসে গেলে বাকি
ইতস্তত তারাগুলো চেয়ে থাকে মৃতদার সারসের মতন একাকী।

সহসা নদীর জলে সূচীমুখ ন’ড়ে ওঠে ব’লে মনে হয়;
চেয়ে দেখি নির্জন হাত
আমার চোখের চাওয়া তারকায় না জেগে হয়েছে ধূলিসাৎ;
মেধাবীর ভূয়োদর্শনের মতো রাসভের নিকটে হঠাৎ।

এখানে শিশির ঝরে সময়বিন্দুর মতো কুহুলিন নক্ষত্রের থেকে
এ-দেশ মালয়, বালি, শ্যাম, ইন্দোচীন
সমুত্তীর্ণ হ’য়ে তবু স্বর্গ-নরকের চোখে চিরকাল সমভাবে বিবেচনাধীন;
লঘুগুরু কুয়াশার আবরণ থেকে চেয়ে দেখেছে অনপনেয় কুহুলিন।