চিঠি-৫

সর্বনন্দ ভবন
বরিশাল
২০. ৩. ৪৪

প্রিয়বরেষু

আপনার চিঠি পেয়েছি।

বুদ্ধদেববাবুর কাছে ‘ বনলতা সেন’, ‘বিড়াল’ ও ‘মনোবীজে’র যে ইংরেজি তর্জমা রয়েছে তাও খুব তাড়া খেয়ে লেখা; ও তর্জমায় আমি খুশি নই। ওগুলো আপাতত অমিয়বাবুকে দেখাবার দরকার নেই।

আমি এই সঙ্গে Sankhamala (‘শঙ্খমালা’, বনলতা সেন) To the Song-Kite ‘হায়, চিল’, ব. সে.), if I were (‘আমি যদি হতাম’, ব. সে.), Meditations (‘মনোবীজ’, কয়েক বছর আগে ‘শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকা’য় বেরিয়েছিল), Chorus (‘বিভিন্ন কোরাস’, ‘কবিতা’ ১৩৪৯) ও Antiphony (‘আলোকস্তম্ভ’, অনেক বছর আগের পত্রিকায় ছাপানো) পাঠালাম।

এবারও তাড়াহুড়ো করেই সারতে হল। বেশি সময় পেয়ে স্থির হয়ে নিতে না পারলে এসব জিনিস মনের মতন হয় না।

‘বনলতা সেন’ ও ‘নগ্ন নির্জন হাত’-এর পরে তর্জমা করে পাঠাতে পারি। Chorus কবিতাটি খুব বড়ো-মাঝে মাঝে বেছে নেয়া যেতে পারে। আশা করি অন্য কবিতা কটি গ্রহণযোগ্য মনে হবে–‘বনলতা সেন’ ও ‘নগ্ন নির্জন হাত’ এসে দু-একটিকে সরিয়ে না দিলে। এই শেষোক্ত কবিতাদুটো অমিয়বাবু নিজেই তর্জমা করলে খুব ভালো হত; বুদ্ধদেববাবুকে তো অনেকবার করতে বলেছি, তিনি করলেন না।

যে তর্জমা কটি পাঠালাম অমিয়বাবুকে দেখাতে পারেন। আমার অস্পষ্ট হাতের লেখা, final proofএর আগে আমাকে দেখালে খুশি হব। প্রীতি নমস্কার। ইতি

জীবনানন্দ দাশ

[দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়কে লেখা।]