লীলা

এই পথে দ্বৈপায়ন গেছে এক দিন
যখন সমাপ্ত হল সময়ের কাছে তার ঋণ
আধেক সমাপ্ত এক জীবনের দিকে
তাকায়ে তবুও তার নির্দিষ্ট তারিখে
চ’লে গেল অন্য এক ধারণার পানে
মানুষের জীবনের আগাগোড়া মানে
জেনে নিয়ে সিদ্ধার্থ তবু তার পর
ম্লান প্যাগোডা’র পথে- হরিতকী-ছায়ার ভিতর
মিশে আছে দেখে আমি তাহার গৈরিক
শকুন বা সুপর্ণর ডানা কী না ঠিক
না বুঝে এ-পৃথিবীতে হাজার-হাজার
বছরের সূর্যালোকে সেই চমৎকার
বৃত্তান্তের কথা ভেবে কাটায়েছি দিন
দেখে গেছি পৃথিবীতে ঢের সমীচীন
মনস্বীরা এল গেল- লিলিয়ান, লীলা
নামে কাল, কালান্তের এক জন প্রসন্ন মহিলা
একটি একাকী দেহে অনেকের মতো
সারিকার গ্রন্থনায় মজাদার শুক-সারী স্বভাববশত
একটি যুগের মৃত্যু হয়ে গেলে ফেঁসে
নতুন যুগের মুখে দাঁড়ায়েছে এসে
কালোচিত কথা ব’লে (গেলাসের তলানির মতো
সকল সময় দেশ পরিব্যাপ্ত ব্রহ্মার প্রতিজ্ঞা অন্তত
তাহার হৃদয় ছিল অবিকল ঝাঁঝে
বিজৃম্ভিত হয়ে যেত যে কোনও সমাজে
তাহাকে ঝাঁকুনি দিলে) ভাস্বর অঙ্গীকার নিয়ে
তবুও দেখেছি আমি একাকীই রয়েছি দাঁড়িয়ে
দুপুরের তারাবনে- বাঘিনি’র মতো
সে নেই- সে আছে- নেই- প্রেমিকের চেতনাবশত
তবুও সে কোনও স্থানে নেই
একটি দিনের জন্মে দেখা দিয়ে- দিন ফুরালেই
চ’লে যায়- তবুও সমস্ত দিন তাকে
সর্বত্র পেয়েছি ব’লে অনুভব ক’রে
হয়তো-বা পাওয়া যাবে ভেবে আমি প্রভাবিত হয়ে অনাদরে
বাজারের মন-কষাকষি, রক্ত, শুভঙ্করী আর্যা নিয়ে আমি
নিমীলিত হয়ে ঘন আলোর ভিতর থেকে দিয়েছি প্রণামী
সেই তার শুভ্র মস্তিষ্কের অপরূপ প্রণামীকে তবু সারা-দিন
সোজা ধারণার মতো হয়ে তবু অতীব কঠিন
সে-ই মন্ত্রপূত ঋণী- আমি-ই করেছি তবু ঋণ।