লবণের নারীর মতন

তোমরা দৌলত দিয়ে কী করিবে আর
মধুকর ডিঙাগুলো পাবে না ক’ তোমাদের খুঁজে
তারা এই মৃত্তিকারে জিনে লয় কাঠি দিয়ে খুঁচে
তোমরা করেছ অন্য প্রদীপের সাথে ব্যভিচার
ওই দূর করতলে-আমলকী থেকে আলো প’ড়ে গেল খ’সে
তোমাদের জীবনের আপ্লুত প্রদোষে
তোমাদের অন্তরের কাছে এসে স্থির জানু লভিতেছে
কৃশ কৃশতম সব হৃদয়যন্ত্রের ব্যবহার
বাতাস করিছে হু-হু বৃষ্টিভেজা ত্রিভঙ্গ পাহাড়ে
কাহার শেফালিবনে বহু দিন ঢুকে গেছে বাতিচালকুমড়ার চাষী
মানুষের মনে শুধু অম্লজান জন্মিতেছে ভিজে ফুটপাথে
মানবীর কাছে তবু আজও তারা নবতর ভ্রূণের প্রত্যাশী
তোমাদের দীপ থেকে অগ্নি খেয়ে এক বার ক্লান্ত কৃকলাস
ভয় করে না ক’ আর দানবের উত্থানপতন-
মৃত্যু যেন শেয়ালের মতো এসে চুরি ক’রে নিয়ে যায় অনেক আভাস
নদীদের শান্ত শৌর্যে ডুবে যায় অবশেষে লবণের নারীর মতন।