বহু ক্ষণ বিতর্কে আমরা
ন্যূব্জ পৃথিবীর ছবি দেখে গেছি
শহরের ঘাঁটি ছাদে ফুটপাথে, স্লাম’এ, ট্রামলাইনে, ট্রামে,
গ্রামের প্রান্তরে-
এই বার জঙ্গল-আকীর্ণ স্পষ্ট হোমাপাখিগঞ্জের তরে
পার যদি- ধরো তবে- রাত দেড়টায় কোনও ভৌতিক ট্রাম
দাঁড়াও খানিক তবু- চারি-দিকে গ্যাসল্যাম্প- তার পাশে আধাে-অন্ধকার
এই সব এশিরিয় থাম
প্রচার করিছে সেই মৃত চিত্রসেনী আর তাহার আসন্ন প্রিয় নাম।
অপার্থিব ভুল আমাদের
জান না কি অই পক্ষ ঢের পুরাতন
নিওলিথ যুগ থেকে আজও তারা প্রস্তরমূর্তির মতো বিনিদ্র, উন্নাস
সব-চেয়ে উঁচু স্তম্ভে- আমাদের ধর্মঘটে মরুভূমি ঘিরে যদি ঘাস
গজায়, তা হলে তারা বেলা বারোটায় ঠায় বড়বাজারের ট্রাফিকের মতো হয় জ্যাম
দু’-এক মুহূর্ত শুধু। সময়ের নিউটনি কিংবা এই আপেক্ষিক তরঙ্গের ভ্রূণের ভিতর
বেদান্ত, গণিকা, হুন্ডি, পোলিটিক্স- কনুইয়ের ‘পরে রাখে ভর
সরল রেখার টানে কী এক গম্ভীর ভূমা এঁকে গেছে মেধাবী ভাস্কর।