মিডিয়া

আমি এই পৃথিবীর হেলিওট্রোপের মতো নীল সমুদ্রকে
এক দিন ভালোবেসে চোখ বুজে থেমে গেছি-
তবু তার পর চোখ মেলে
তারে আর কোনও দিগন্তরে
পাই নি ক’; আমরা প্রতিভূ তবু জেসন ও থিসিয়ুসদের
যে-দেশে সমুদ্র নাই আজ আর আমাদের
ভিজে কনিফার-কাঠে ন’ড়ে উঠে তবুও জাহাজ
র’য়ে গেছে; যাত্রী আছে; কীসের উপর দিয়ে যায় তারা!

মনে পড়ে এক দিন নারীর দুধের মতো ম্লান সাদা হাত-
হাতের প্রতিভা ছিল সে-সময় পৃথিবীতে বেঁচে
মিডিয়ার; লেসবসের সমুদ্রের গরম ঊর্মির রৌদ্র ভেঙে ফেলে ঘুম
মাথার অগণ্য চুলে নেমে এসেছিল- সেই শঠ সর্পীদের
নির্জন নিস্তব্ধ ক’রে রেখে
সর্বদাই দুপুরের রৌদ্র চারি-দিকে জলে- স্তনের উপরে- স্তম্ভে
মাথার উপরে দূর দড়ির রহস্যে বাঁধা সাদা পালগুলো
হয়তো বকের মতো উড়ে গেছে আকাশের দিকে
সাগরে আলোর রোল চারি-দিকে যুবাদের প্রাণের ভিতরে
মোমের আলোর মতো ন’ড়ে- বালির ঘড়ির মতো বেজে যায়
বর্ণালির মির্মিরের মতো কণ্ঠস্বরে।
কাঠের ছালের গন্ধে জাহাজের অন্ধকার মোলায়েম তলদেশ ঘিরে
মদের পিপার নাচ- অগণন শামুকের ভিড়
ক্ষিপ্র হাঙরের গতি- সময়ের দ্রুততাকে স্থির-
স্থির ক’রে রেখে দেয়।

সোনালি ডোরার মতো রৌদ্ররেখা আমাদের নাকে মুখে চোখে
জল থেকে সূর্য যাহা তুলে দেয়- দুপুরের গম্ভীর আলোকে
সে-সব বিম্বের মাঝে দীর্ঘ নারী দাঁড়ায়েছে একা
মাথার গভীর খোঁপা ভূমার মতন উঁচু, ধীর
হাজার বছর ধ’রে চোখ বুজে- অনুভব ক’রে
হে মিডিয়া, আজ আমি সূর্যের শরীর।