মেঘলা নদীর বক

মেঘলা নদীর বক জলে তার ছবিটির মতো
ভোর থেকে দুপুর পেরিয়ে গিয়ে ব’সে আছে এখনও একাকী
ব’সে আছে সময়ের ঘড়ি ছুঁয়ে- ঘড়ি ফেলে তবুও বেভুলে
উঠেছে নদীর জল ফুলে
সে-জল ডিঙিয়ে যেতে হৃদয়ের বাধা
নাড়া খেলে আধো-শূন্যে সাদা
মুঠো-মুঠো কোমল রূপ রেখে
ডানার মতন প্রাণে ভেসে ক্রমে ঠিকরায় জামরুলে।
আপামর জলের ভিতরে
ঢুকে গেলে বকের বাতাস মনে পড়ে
বাংলার। ঘুমায়ে রয়েছে সব জেগে
গোধূলির সূর্য, মেঘ, জল
একটি বকের আলো এমন সরল
জলের ফোঁটার মতো বেগে
লেগে থাকে মানুষের গালে
চোখ ফেলে পুকুরে তাকালে
অথবা আকাশে চোখ তুলে
আমি, বৃষ্টি, বক, মেঘ, সূর্য, পাতা, আলো
শরীরকে মনে হয় সে-রকম ভালো
যে-রকম বহু সম্রাজ্ঞীর পরে সেই রমণীকে ছুঁলে।