ম্লান আলোয়

ম্লান আলোয় পাড়াগাঁ’র কিনারে ব’সে কবিতা লিখে গেলাম
কবিতা লিখে গেলাম সবুজ ঘাসের উপর শুয়ে
বড়- বড় নক্ষত্রের থামের ছায়ায়- নিস্তব্ধতায়
আমার পাণ্ডুলিপি রচনা ক’রে গেলাম।

শহরের ফুটপাথ থেকে ফুটপাথে হেঁটে
গ্যাসপোস্টের থেকে আরও দূর গ্যাসপোস্টের ব্যবধানে দাঁড়িয়ে
তেল দেশলাইয়ের জ্যোৎস্নাকে এড়িয়ে
উদ্যমকে অস্বীকার ক’রে কবিতা লিখে গেলাম।

আমার সব সময়ই মনে হয়- অনেক ঘাস যেন নীরব হয়ে রয়েছে
(আরও ঢের ঘাসের ভিতর)
আরও অন্ধকার জলের ভেতরের জল
আধো-অন্ধকারের ভেতর অনেক অপার জলের স্থির চেতনা সব সময়েই
কোন দূর দেশে;
সবুজ তালগাছের ঝিলিক এখানে- ওখানে-
নক্ষত্রদের সমারোহকে ধ’রে রেখেছে
সেখানে রৌদ্র আর নেই, গতি নেই, চিন্তা নেই
সেখানে সময় আর জননী নয়।

নগর বন্দর গৃহস্থালির সমস্ত রক্তাক্ত শপথ
ঘাসের শিখায় শিরীষের শিশিরে শব্দহীন হয়
সেই কমললেখা বাগচি’র দেশে-
কবেকার পাড়াগাঁ’র কমললেখা-
যেখানে সময় আর জননী নয়- জননী নয়।