মহান অন্ধকারের ভিতর

উর্বশীকে তার সত্তর বছর বয়সের সময় দেখলাম
তার জীবনের অনাদি আয়ু নেই এখন আর
সোফায় ব’সে কাশছে (তবুও, বিধাতা, সোফা কেড়ে নাও নি তার)
কে যেন বিজাতীয় ওষুধ মালিশ ক’রে গেছে তার সমস্ত দেহে এক্ষুনি
তার এলানো চুলের দিকে তাকিয়ে মনে হয়
কোনও ভিখিরির ধূসর জামা অঝোর বৃষ্টির ভিতর ভিজে
হলুদ নদীর শিথিল দুধের ভিতর হারিয়ে যাচ্ছে।
যে-কোনও বালক একে দেখে খুশি হবে
কারণ, এর ভিতরে রঙিন কাকাতুয়ার আস্বাদ আছে
কিন্তু, বালকদের কাছে শেষ পর্যন্ত কাকাতুয়া বা গিনিপিগ, ধূসর বা কালো ইঁদুর একই জিনিস
এই সব জিনিসকে সং সাজিয়ে বেদনা দিয়ে আনন্দ পায় তারা
কলকাতার কত মৃত তরুণের দল একে উর্বশী ভেবে বেদনায় চোখ বুজে চ’লে গেছে
ত্রিশ বছর আগে- চল্লিশ বছর আগে
তাদের হাড়ের মৃত্তিকা এখন গম্ভীর বিমর্ষতায় পৃথিবীর সঙ্গে ঘুরছে
আন্তর্নাক্ষত্রিক শূন্যের মহান অন্ধকারের ভিতর।