মহাপতনের ভোরে

কেবলি স্বপ্নের ক্ষয় হয়;
তার কোনো ক্ষয় নেই, চারিদিকে চলেছে সময়:
বন্দরের কুয়াশায় কোলাহলে,
পৃথিবীর কোল থেকে অবিরাম উৎসারিত জলে,
এরিয়েলে ধ্বনির প্রবাহে,
অন্ধকারে অন্তহীন মানুষ বা মাছির পতনে,
কন্ফারেন্স প্ল্যান কমিশনে।
নগরীর শক্তি নষ্ট হ’য়ে যায় চারিদিকে,-
কেবলই গ্রামের ধ্বংস হয়;
ফুটপাথে-পাটাতনে ছোটো বড়ো মাঝারি অগণ্য পরিসরে
সৃষ্টির ও পৃথিবীর ভয়াবহ শূন্যের ভিতরে
প্রেম আছে, ভাবে ওরা, বুঝি সব অপ্রেমের বীজ নষ্ট করে!
কিন্তু তবু কোথাও এখনো শেষ যতি
ছেদ ক’রে মন্তব্যে মননে স্থির গতিপ্রেম আছে?
মানুষের ইচ্ছা চিন্তা সংকল্পের আঁধার আলোর সেতু ঘিরে
ক্লান্তি ব্যথা কুজ্ঝটিকা ঢের
সত্যের ও মৃতসত্যের;
ইতিহাসে পর্ব শেষ হ’য়ে গেলে সেই মহা দায়ভাগ প্রাণে
নিয়ে ছোটো আকাশের মতো বড়ো নীলিমা সন্ধানে
চ’লে যায় মানুষেরা ইতস্তত বলয়ের দিকে;
অসত্যের থেকে সত্যে?-
আশার স্পন্দন ঘিরে রেখেছে এখনো পৃথিবীকে।

[যুগান্তর। শারদীয় ১৩৫৮]