মহাত্মাজি

সফল উজ্জ্বল ভোর পৃথিবীতে আসে,
তার পর অন্ধকার ভাঙনের রাত;
এ-রকম টানাপোড়নের বেগে মানুষের সময় চলেছে।
এক দিন পৃথিবীর হিংসাব্যথা শেষ হবে, সেই অনিবার
আনন্দের চিন্তার মতন প্রেম আলো
মাথার ওপরকার প্রসারিত নীলিমার মতো
সবের ওপরে সত্য হয়ে আছে, আছে মনে হয়;

বসন্তের বায়ু আসে পাখিদের কলরব নিয়ে;
সূর্য জ্ব’লে ওঠে নিজ মহিমার স্থলে;
জ্যোতির নিঃসৃত নিজ কন্যার মতন
সমুদ্র সমস্ত দিন কল্লোলিত হয়;
পৃথিবীতে, আমাদের সমাজেও এ রকম সুদীপ্ত সময়
অনুভব ক’রে সব মানুষেরা মৃত অপমৃত শতাব্দীর
গ্লানির কলঙ্ক থেকে উঠে এসে তনু মন প্রাণ
করায় কী অন্তহীন অমলিন আলোসূর্যে ঘ্রাণ!

মানুষের অবিরল রাত্রি দিনে সেই ভুল, লোভ
হননের ইচ্ছা, রক্ত, অন্ধকার, ক্ষয়:
তিরোহিত হ’ল না তো সেই সব আজও;
তবুও কল্যাণকৃৎ মহাত্মার মাধুরীর এ-টুকু সময়
আর সেই মধুরতা কি ক’রে নিহত হ’ল, তবু
সংরক্ষণ ক’রে রাখে নিজের অমিয়
‘সৃষ্টির অক্ষয় অন্ধ সবিতার কাছে
মানুষ, এ-সূর্য তুমি নিও।’