মক্ষিকা মুখর হয় কোথাও দুপুরবেলা গোলাপের গুণে
আমি তার সুর শুনি- চেয়ে দেখি চোখে
সম্পূর্ণ রমণী এক ব’সে আছে নিশিত আলোকে
যদিও ভাঁড়ের গাল ম্লান হল কালি আর চুনে
মক্ষিকা মুখর হয় তবুও দুপুরবেলা গোলাপের গুণে
অনেক জ্যোৎস্নায় ঘুরে অহরহ বৃশ্চিক-রাশিতে
সহসা সূর্যের সাথে দেখা যেন অধিক নীরবতর জলসিড়ি মোহানার তীরে
নির্জন ভূখণ্ড এক দেখা দিয়ে চ’লে এলে ভাঙা দরদালানের ভিড়ে
সামান্য অভয় দিয়ে চেয়ে আছে সাধারণ মানুষের মুখ দেখে নিতে
অনেক আমোদ ঘুরে গিয়েছে সে মীন, তুলা, কর্কট-রাশিতে
চারি-দিকে তিন মাইল ধূলা, মেঘ, গাধা, গাভী, রৌদ্রের ভিড়
যত দূর চোখ যায় নেমে গেছে হৃদয়ের পরিজনদের মতো ছবি
গোলাপের পাশে এসে তাই এক দাঁড়ানো মানবী
প্রতিটি গাধার চোখে- প্রতিটি গাভীর
চারি-দিকে মাইল-মাইল রোদ, ঘাস, কাঠঠোকরা’র ভিড়
দুগ্ধ ও মেঘের ঘ্রাণে চুলের মির্মিরে ঘোড়া-ঘোটকী’র চোখ বুজে আসে
অথবা রোদের রঙে- বোলতা’র গানে
যেখানে কেহই নেই- সেই এক গোলাপের ঘ্রাণে;
তবুও আদপে স্থির- এমনই সে সাদা সাধারণ ভাবে ভালোবাসে।
মক্ষিকা মুখর হয় কোথাও দুপুরবেলা গোলাপের গুণে।