মনে হ’ল- হয়তো যেতেছি আমি ম’রে

মনে হ’ল- হয়তো যেতেছি আমি ম’রে,-
দু’-চোখ আসিতে আছে অন্ধকার ক’রে!
পাখির বাসার ‘পরে ছানার মতন
শীতের সকাল বেলা জেগেছিল মন;
অন্য এক শীত তবু এই শীত হ’তে
এক-রাত দুই-রাত হয়তো ঘুমোতে
চ’লে যাই; তার পর জাগিতেই হবে!
কাহাদের সাথে চেনা হয়েছিল কবে,-
আবার আসিতে হবে তাহাদের কাছে;
তখন হয়তো এক বেলা পড়িয়াছে,
অন্ধকার আসে নাই,- শীত তবু আসে!
কুয়াশা জমিয়া যায় হয়তো আকাশে!
এরই মাঝে তার সাথে হ’য়ে যাবে দেখা,
এক দিন যারে আমি পৃথিবীতে একা
ফেলে রেখে- ছেড়ে দিয়ে গেছিলাম চ’লে,-
একে-একে সকলের সাথে দেখা হ’লে
যখন পৃথিবী আরও অন্ধকার হয়,
পথে শেয়ালের বুকে কি যেন কি ভয়
যখন চমকে দেবে, তখন তোমারে
হয়তো দেখিতে পাব; কাছে ডেকে কারে
ব’সে আছো,- হাসিতেছ,- বলিতেছ কথা;
আমারে যা বলেছিলে- তারেও বলো তা!
দুই-ঠোঁট কেঁপে-কেঁপে- কেঁপে কথা কয়!
পথে শেয়ালের বুকে কি যেন কি ভয়
তখন চমকে দেবে!- তখন তোমারে
আবার দেখিতে পাব,- কাছে ডেকে কারে ব’সে আছো!

কবিতীর্থ। আশ্বিন ১৪০৭