মৃণালিনী সেন

মৃণালিনী সেন আজ হয়ে আছে নির্জন পাথর
কোনও এক নির্ঝরিণী থেকে নামা নদীর ভিতরে
সকালে মুনিয়া-পাখি জল খেয়ে যায়
আকাশে অমল কালো রঙ হয়ে ঝরে
সকালের কাকগুলো অশ্বত্থে’র ভিজে শাখা থেকে
আড়কোলা হয়ে উড়ে অনড় বাতাসে
রৌদ্রকে স্থির হতে ব’লে দিয়ে ক্রমে
কোথায় মিলায় অনায়াসে
তিনটি বিলোল গাধা চ’লে আসে রোজ
গাছের ছায়ার ডোরা গায়ে মেখে দুপুরের রোদে
খেলা ক’রে যায় কানা ঘোটকী’র সাথে
অনর্গল মোক্ষম আমোদে
কোথাও বধির ধোপা তাহাদের ছেড়ে দিয়েছিল
দেউলিয়া গাড়োয়ান পিপুলের তলে
এখন সমস্ত দিন মৃত হয়ে আছে
এই সব গাধা ঘোড়া কাক তাই বলে:
মানুষের মৃত্যু হয়ে গেছে ঢের দিন
জামরুল-রঙি নদী নেচে- হেসে যায়
সূর্যের ভিতর থেকে যত দিন বুড়ো
চাঁদের ভিতরে স্নিগ্ধ বুড়িকে ঘুরায়।