মৃত্যু নয়

মৃত্যু নয়… তুমি এক কুঁড়ে বাঁধো কোনও দূর দিগন্তের কাছে
তার পর… দেখিবে সোনালি রৌদ্র খেলা করে জনারের খেতে
দেখিবে আকাশ দূরে আকাশে আকাশে আরও নীল হয়ে আছে
দেখিবে সন্ধ্যার মেঘ বহু ক্ষণ থেমে আছে কুহকের সমুদ্রের দিকে যেতে-যেতে

দেখিবে আঁধার ধীরে জলের মতন এসে বুকের ভিতরে
খেলা করে; আঁধারের শব্দ হয়, সাদা ধুলো ভূমিচাঁপাফুলের মতন
অন্ধকার গায়ে লাগে- চাকের ভিতর থেকে মধুর মতন যেন ধীরে
অন্ধকার;- ভিজে মৃদু শান্ত সোনালি গন্ধে আঁধারে ডুবে যায় নদী আর বন

আকাশের নীল মাঠ ভ’রে যায় নক্ষত্রের রুপালি আগুনে
কারা যেন আসিয়াছে; শালের বনের থেকে গভীর বাতাস
বীচি-বিক্ষোভিত এই অন্তহারা আকাশের কোলাহল শুনে
উৎফুল্ল জেব্রার মতো অন্ধকারে অন্ধকার ছুটে যায়- নাহি মানে রাশ

মৃত্যু নয়… নক্ষত্র আকাশ রৌদ্র প্রান্তরের প্রশস্ত বাতাস
জনারের কলরব রৌদ্রে-রৌদ্রে- পৃথিবীর নীল বিশালতা
বিরাট ধবল মেঘ শকুনের মতো দৃঢ় ডানার আভাস
দিয়ে যায় আকাশের মধ্যপথে বার-বার- বিহ্বল বাঘিনী যেন উষ্ণ চোখে আকাঙ্ক্ষার কথা

গভীর ইচ্ছার ঢেউ শালবন থেকে দূর হরিতকী বনে
ঢেলে যায়- রৌদ্র আর জ্যোৎস্নায় বনানির ঝিল
সোনালি রুপালি হয়; যেই রক্ত ঝরেছে জীবনে
সবুজ ঘাসের মতো হয়ে যায়- হয়ে যায় বাঘিনীর চোখের প্রেমের মতো নীল।