মৃত্যুর অই পার থেকে

মৃত্যুর অই পার থেকে ভূত পৃথিবীতে ফিরে এল আর এক বার
কোনও এক কৃমির কামড়ে যেন- মন্থরে- বিবশ ঘুমে
শ্লথ হ’য়ে গিয়েছিল;- মনে হ’ল ক্রূরতম মননের নিবিষ্ট আধার
আজও যেন ধ’রে আছে;- মৃত্যুরও ও-পারে গিয়ে শেফালি কুসুম

ফোটাতে পারে না আর;- আহা, আত্মা, সুস্থিরতা পাবে তুমি কবে
বহু দিন ম’রে চ’লে গেছ তুমি পৃথিবীর থেকে
আমরা রয়েছি সব: এক গাল আকাশের চেয়ে ঢের ব্যবধানে র’বে
প্রেতদল;- দুপুরের কলরবে সোদরের মতো তবু আমাদের নাম ধ’রে ডেকে

এলে তবু;- যেন তুমি দেখে লবে খবরের ঘন কাগজের
দেবতারা কোন কথা চেনে আজ- আজও কি মানব
ত্রুবাদুর?- এক কথা- দাম দিতে পারি নাই মোরা কেউ রাজমিস্ত্রিদের
তোমার ভস্মের ‘পরে স্থাপত্যের কোনও অবয়ব

জন্মাল না: তোমার সুনাম নিয়ে লোফালুফি হয় না ক’ এই পৃথিবীতে
এক জন দুই জন ছাড়া কেউ বোঝে না ক’ হাতের তেলোর অমরতা
কিংবা শেষ নক্ষত্রের;- মোরা জানি তুমি এই পৃথিবীর কুয়াশা মারিতে
পেরেছিলে ঢের দূর;- একটি সর্ষেবীজে যদিও জেনেছ ঢের প্রিয় ঘনিলতা

সময়ের দুহিতার যোনি শুধু শতাব্দীতে এক-আধ বার
বেদনায় কেঁপে উঠে করে সেই উদ্বেগ প্রসব
ফিরে যাও- আলো নিয়ে জিনে লও কোনও হিম নিম্ন অন্ধকার
এখানে জলের পাশে লবণনারীরা আর তোমারে করে না অনুভব।