নিঃসরণ

দূর্গের গৌরবে ব’সে প্রাংশু আত্মা ভাবিতেছে ঢের পূর্বপুরুষের কথা:
যারা তারে জঙ্ঘা দিল, চিত্ত দিল,- তবু আজ তরবার পরিত্যাগ করার ক্ষমতা
যারা দিল; প্রাচীন পাথর তারা এনেছিল পর্বতের থেকে
স্থির কিছু গড়িবার প্রয়োজনে; তারপর ধূসর কাপড়ে মুখ ঢেকে
চ’লে গেছে;- পিছল পেঁচা যে ওড়ে জ্যোৎস্নায়- সেইখানে তাদের মমতা

ঘুরিতেছে- ঘুরিতেছে- শুক্র-মঙ্গলের মতো; আমার এ-সাদা শাটিনের
শেমিজও পেতেছে সেই মনস্বিনী শৃঙ্খলাকে টের।
এই দুর্গ আজও তাই- ক্রিয়াবান সপ্তমীর চাঁদের শিঙের নীচে হিম
লোল- বক্র- নিরুত্তর; আজই রাতে আমার মৃত্যুর পরে নতুন রক্তিম
সূর্য এসে প্রয়োজন মেগে নেবে এইখানে লোকশ্রুত ভূমিকম্পের।

পূর্বসূরীদের ইচ্ছা অনুশাসনের মতো করিতেছে কাজ।
প্রাচীন লেখের থেকে অন্ধকারে- বিক্ষুব্ধ সমাজ
করতালি দিয়ে হাসে; দূরবীনে দেখা যায় যেই সব জ্যোতির্ময় কণা
অনন্ত মোমের তেজ নিয়ে নাচে,- সেই সব উচ্চতর রসিক দ্যোতনা
মৃত্যুকে বামনের করতলে হরিতকী অন্তত ক’রে দিক আজ।