নিবিড় সাদা ঘোড়া

সেখানে সহসা গিয়ে দেখা গেল অনেক নিবিড় সাদা ঘোড়া
সুমন্ত্র’কে সারথির মতো যেন পেয়ে গেছে- তবু-
তাহারা নিজেরা আজ নিজেদের প্রভু
বায়ুর ভিতর দিয়ে চ’লে যায়- যেখানে পাহাড়
নিজের আয়ত চূড়া ঠেকায়েছে নীলিমার সাথে
সেইখানে ফাল্গুনের রাত্রির গায়ে
প্রকৃতি কাহাকে রেখে দেবে ঢের ভেবে
এক মুঠো সাদা ঘোড়া দিয়েছে ছড়ায়ে

আমিও অগস্ত্য-যাত্রা শুরু ক’রে সময়ের আগে
প্রণয়িনী জননী ও জনতাকে ভুলে
কোথায় হতেছে রণ গোক্ষুরা-নেউলে
ফেলে দিয়ে রক্ত বনদেবীদের ভাগে
দাঁড়ালাম সাগরের পারে গিয়ে একা
সেখানে আকাশ উচ্চ জ্যামিতির মতো
আকাঙ্ক্ষায় জেগে উঠে কেটেছে গভীর নীল রেখা
সাদা পায়রা’র মতো দু’-একটা মেঘ ইতস্তত
রয়েছে রাত্রির গায়ে সাটিনের বুনোনিতে লেগে
তবুও সাটিন পাখি মানুষের বিমূঢ় হৃদয়
সেই রাত নীলিমার রূপকের মতো কিছু নয়
বাচকবী, আমাদের অর্থ প্রকাশিত হয় স্পষ্ট বাক্যের আবেগে
ছাগলের মুণ্ড, রক্ত, দক্ষকন্যাদের মুখে লোল
আকাশে আবহমান কাল ঘুরে পেয়ে গেছে শুদ্ধ সমতা
হয়ে গেছে এই সব ঘোড়াদের মতন নিটোল।

অনুভব ক’রে নিয়ে নিশিত অগস্ত্য গেল চ’লে
তিনটি পথের মোড়ে এক পথ বেছে
কেন-না সে চির-কাল রয়ে গেছে বেঁচে
একটি বিশিষ্ট পথরেখা সাঙ্গ হলে
জেনে নেবে অন্য পথ ব্যাপ্তি মানব-অন্তরে
অথবা যা ভারিক্কে ব্রহ্মাণ্ডের এই সেই ব্রহ্মাস্ত্রের দেশে-দেশে হেঁটে
আমরা ঢেঁকি-ও-ব্রহ্মে শানিত স্বপ্ন দেখে হাত রেখে হৃদয়ের ‘পরে
টের পাই বেলা শেষ হয়ে গেল বাতাপী’র পেটে।