নির্জন শীতের রাতে

অরণ্য নিজের হাড় দিয়ে গেছে আমাদের নির্জন শীতের রাতে আজ
এই সব কাঠ থেকে ধীরে অগ্নি আমাদের মেঝের উপরে
জ্ব’লে যায়। আমরা শীতের রাতে মৃত অরণ্যের শান্তি অনুভব করি
টেবিলে আলোর পাশে ব’সে বুড়ো উপনিষদের সাদা পাতা
উচ্চারণ ক’রে যায়- অলীক আলোয় ক্ষীণ ঊর্ণাজালের মতো দাড়ি
লঘু ফুঁয়ে ন’ড়ে যায়- সমস্ত মস্তক নড়ে ব’লে
সময়ের ঘড়ি ভুলে অনুভব করা যায় পুস্তকের প্রতিটি নিথর
নিষ্ক্রান্ত শব্দের রোল- যেন এক সাদা ভালুকের
নীরব গতির মতো- যখন সকল দিকে মাইলের-পর-মাইল
বরফের সমুজ্জ্বল অঙ্গীকার, নিজের পায়ের শব্দ, শান্তি র’য়ে গেছে
আমাদের জ্বালানি-কাঠের অগ্নি ক্রমশই প্রতিবিম্ব ফেলে দিয়ে- দূরে
চ’লে যায়- কোনও এক নরকের উন্মীল আগুনে গিয়ে উৎসের মতন
গোল হয়ে গোল হয়ে ঘুরে সব সাদা ভূতদের
হৃদয়ে আমোদ আনে। বহু-দিন-হয়-মৃত পুরোনো ভূতেরা
হাঁটুর উপরে মাথা রেখে দিয়ে দূরতর অন্ধকারে ব’সে থেকে জানে
উহাদের চেয়ে আরও বেশি ক’রে ব্রহ্মাণ্ডের আমোদের মানে।