নিশীথের নিরন্ন বাতাসে

কত রানি ম’রে গেছে নিশীথের নিরন্ন বাতাসে
কী ভেবেছে তার পর আবার প্রত্যুষ সাদা জ্যোতির্ময় মেঘে
কোনও এক দীর্ঘতম এশিরিয় সম্রাটের মতন আবেগে
দেখা দেবে বৃহত্তম সূর্য নিয়ে- আকাশের নীল অবিনাশে
সমস্ত সমুদ্র তবু হল যেন সাদা এক সিক্ত বিহঙ্গম
ধূসর বইয়ের স্তূপ- মোম সব- ফেলে দিয়ে ধুলোর খোঁড়লে
বিস্ময়ে তাকায়ে দেখি প্রান্তরের অই পারে গাঢ় ল্যাম্প জ্বলে
পৃথিবীর সব-চেয়ে রূপসির যেন এক যুবা প্রিয়তম
দেখা দিল- স্ফটিকের মতো রৌদ্র- অনেক খেজুর-গাছ- মিশর- আরব
অনেক উটের সারি- প্রাসাদের পাশে-পাশে আখরোট- ডালিম- গোলাপ
মনে হয় চেনে নাই কোনও দিন সূর্যাস্তের মাইনোটুর-কোলাহলে যেই অভিশাপ
পাখিরাও মানবের আত্মা পেয়ে আজ এই শতাব্দীতে করে অনুভব।