নববর্ষের গান

তুমি কি তোমার ইন্দ্রজাল ছিঁড়ে ফেলে দিলে
হে অদিতি, আলোর জননী
তোমার পৃথিবী- তোমার নীলিমা
তোমার যোনির থেকে উৎস হয়ে পেল ফের সময়ের সীমা-
স্থির বিবেচক এক- সব শেষ বছরের শূন্য বিবরণী
পাঠ ক’রে- তার পর চ’লে যেতে পারে কোনও উষ্ণ স্নানাগারে
একটি শেয়ালও কোনও খাদ্য পায় না ক’ সেই ইশারার হাড়ে
চাঁদ স্নিগ্ধ পাইলট: এরোপ্লেনে চ’ড়ে শেষ বিস্ফোরক শব্দের গরিমা
দুন্দুভির মতো যেন বাজাতেছে প্রান্তরের লক্ষ মৃত যুবকের চোখে
তার পর মৃত্যু আর ধ্বনি নয়- দুন্দুভিও নয় আর আঁখি
চায়ের পেয়ালা, বই, প্লানচেট প’ড়ে আছে সীমাহীন বায়ুর আলোকে
মশারির মতো ঐ ধূসর স্তব্ধতা তার গভীর হীরক যেন প্রেয়সীর শোকে
তার পর মৃত্যু আর আঁখি নয়- দুন্দুভিও নয় আর ধ্বনি
সাহারা’র গবলিন খুঁজিতেছে চির-দিন যেন সেই প্রাথমিক খনি।