নক্ষত্রের পথে

পথে-পথে আমার কাঁকর,-
আমাদের বুকের উপর
মুখ রেখে এক দিন তাদেরই মতন
প’ড়ে রবো,- ঘুমে অচেতন!
শরীরে র’বে না কোনও তৃষ্ণা,-
সে কতো অসংখ্য নিশা
অনন্ত কাল
হ’য়ে পড়ে পথের কঙ্কাল!…
[বইয়ের ছাপা খুবই অস্পষ্ট হওয়ায়
এখানে সাত লাইন বাদ গিয়েছে]

তবু মনে হয়,-
এক দিন যে-সব বিস্ময়
চোখে মোর রেখেছিনু ভ’রে
চলেছিনু এক দিন যেই পথ ধ’রে
আরও দূরে যেতে হবে ব’লে,-
বার-বার যেই ব্যথা পরাজয় দ’লে
দৃষ্টি মোর উঠেছিল নক্ষত্রের পানে
আলো- আরও আলোর সন্ধানে,-
আরও রূপ- ছবি- ছন্দ খুঁজে,
অন্ধকারে- হিমে- চোখ বুজে
কাঁকরে- অঙ্গারে
ঘুমাতে সে পারে- কতো ঘুমাতে সে পারে!

কালের পায়ের শব্দ শুনি অন্ধকারে,-
কার পানে- আকাশের কোন্ পারাপারে
চলেছে সে!
পথে যেতে-যেতে,
পৃথিবীর মাঠে- মাঠে- খেতে
আমি সময়ের
অশান্ত পায়ের
শব্দ শুধু শুনি!
তার সাথে চলি কোন্ নক্ষত্রের তরে!
যে-ফসল ফ’লে গেছে মাটির উপরে
রেখে যাই;
যাহা ছিল,- কিংবা যাহা আছে,
একে-একে ছুটি পাই সকলের কাছে!

কোনও দিন ফুরাবে না পথ- পথে যেতে-যেতে
এক বার ঝ’রে গেছি পৃথিবীর খেতে
হেমন্তের ফসলের মতো,
আবার উঠিবো তবু ফ’লে
কোনও এক নক্ষত্রের কোলে,
কোনও দূর দেশে
নতুন ধানের গন্ধ বুকে ক’রে
আমি নব শস্যের বেশে!
পৃথিবীর পথের ফসল
এসেছি কোনও এক দিন,-
এ-নদীর জল
আর এই অন্ধকার- আলো
বুকে নিয়ে,-
ধীরে-ধীরে- আজিকে ফুরালো
পথ-চলা এই দেশে,-
নক্ষত্রের বুকে তবু মৃত্যু নাই,
আকাশের শেষে
রয়েছে আকাশ আরও,
আরও তারা- জ্যোতি!
ফুরাবে না পথ ওই,- পথিকের গতি
থামিবে না!

পৃথিবীর খেতে-খেতে হয়তো এমনই ফলিয়া যাবে ধান,
গেয়ে যাবে গান
হয়তো এ-নদী,
আমি দূরে চ’লে গিয়ে এ-দিকে নামিয়া আসি যদি
হেমন্তের রাত্রে এই মাঠের উপরে
হয়তো দেখিতে পাবো কুয়াশায় শেষ শস্য ঝরে!
মৃত্যুর পায়ের শব্দ বাজে
হয়তো শুনিতে পাবো- তবু ওই আকাশের মাঝে
মৃত্যু নাই,-
ঝরেছে যে অন্ধকারে শেষ নাই তারও!
আকাশের শেষে রয়েছে আকাশ আরও!
আরও তারা,- জ্যোতি!
ফুরাবে না পথ ওই,- থামিবে না পথিকের গতি!

[মূল বইয়ের ছাপা অস্পষ্ট হওয়ায় প্রথম আট লাইন এর (হ’য়ে পড়ে পথের কঙ্কাল!…) পরবর্তি সাত লাইন পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।]