নৌকায় বোঝা রেখে

নৌকার বোঝা রেখে- সোনালি ধানের বোঝা রেখে
নদীর ভিতর দিয়ে চলিতে-চলিতে
মশা’র গুঞ্জন ক্রমে নিভে গেল-
বালিহাঁস ডুবে গেল যেন তার রুধিরের মেঘে
অন্ধকার নেমে এল আকাশের কালো জল থেকে
সোনালি ধানের আঁটি সময় হরণ ক’রে নেয় যদি ভেবে
পাখিনীর মতো আমি বসিলাম বিহিত পাখায় তারে ঢেকে
চেয়ে দেখি ছায়া এক বসিয়াছে মুখোমুখি এসে
তার পর উড়ে গেল: তোমার ধানের মতো আমিও তোমারে ভালোবেসে
নির্ধারিত লক্ষ্য রেখে উপলক্ষ্যে আঁধারে বেড়াব কেন ভেসে
মনপ্রাণ রাতকানা হবে মোর- প্ররোচিত হবে
তুমি আদিম খরগোশ-
কেন এই বর্তমান শাবকের মতন বিপ্লবে
কেন অপহৃত হবে মোর গাঢ়তম বয়সের দ্যুতি
(প্রতারিত- উত্তেজিত হবে)
এই ব’লে উড়ে গেল যেন জলমাকড়ের মতো
ভিজে কাঠে (নেমে এসে) বসেছিল মুহুর্তেক
সেই পূর্ণ অন্তরঙ্গ বায়ুর বিচ্যুতি
যেইখানে সেই ছায়া রয়েছিল- সেখানে ধূমল কুপি জ্বেলে
পৃথিবী বোনের মতো কালো প্রশ্ন অনুভব করিলাম
রাত্রি আর নদী আর আমি
আমি আর রাত্রি আর নদী আর আমি

নর নারী খেত গিরি গ্লাসিয়ার তাহাদের দূরতর উপাধানে ফেলে
সকল শাবক ডিম তুলে নিয়ে- জননীর মতো নয়
কোনও ক্লান্ত বিমনস গণিকার মতো অশ্রু ঢেলে।