অবসন্ন সময়ের ফাঁকে

এখনও এ-অবসন্ন সময়ের ফাঁকে আমি সর্বদাই খুঁজি
আমার পুরোনো সেই প্রিয়দের- সহসা তাকায়ে দেখি টেলিফোন-তারে
একটি চড়ুই-পাখি ব’সে আছে- অগ্রসর, বড়ো পৃথিবীর
বিদ্যুতের সাথে এই সমাচ্ছন্ন ভোরের আলোয়
নিমেষের চড়িভাতি- অই দিকে আকাশপ্রদীপ-দণ্ডে চ’ড়ে
একটি খয়েরি চিল- কোনও এক বেঁটে বিমূঢ়ের
গুলতিকে ঈর্ষা করে- তার পর নীলিমার দিকে
উড়ে গেল- অথবা নগরী তার বুক থেকে দূরে
ঘুরে-ঘুরে ধীরে মূঢ় বালকের হাতের আঁচড়ে
দুরারোহ ছবির আঁধারে ক্রমে নেমে গেল
যেন আমি- আমিও বেলুনের নাবিকের মতো
মদের বোতল নিয়ে মিছেই উড়েছি ঊর্ধ্বে এক দিন
নিশাচর বিড়ালের মতো চোখে উপরের আলো
ভালোবেসে- সহসা পিস্তল ছুঁড়ে দ্রুতগতি বেলুনের পেট
ফাঁসায়েছি- সাত জন ঘুমন্তের মতো সব সাদা মেঘগুলো
সাত ভাই বামনের মতো হেসে করতালি দিয়ে
আমাকে মেরেছে লাথি- নীলিমার কর্নিসের থেকে
নয়টি বিড়াল-জন্ম নিয়ে আমি আমরণ অমর বিড়াল
নেমেছি আকাশ থেকে- আজও নামি- সেলুলয়েডের
দীর্ঘ- দীর্ঘতর- ম্লান- ছিপছিপে ফিতের মতন
জীবনকে খুলে ফেলে গোল বোম্বাইয়ের
গোলাকার বাংলার বোর্ড অফ ফিল্ম সেন্সরিঙের
ঢ্যাঁড়াসই যত দিন- যত দূর যেতে পারে- আমি নেমে যাই।