অদ্ভুত সিন্ধুর ঘ্রাণ বুকে

অদ্ভুত সিন্ধুর ঘ্রাণ বুকে ল’য়ে নামিয়া গিয়াছে তারা আশ্চর্য সাগরে,
উপদ্বীপ হতে দ্বীপে- এক দ্বীপ ছেড়ে দিয়ে অন্য এক দূর উপদ্বীপে!-
যেখানে অনেক রৌদ্রে ভরিয়া গিয়াছে দ্বীপ,- যেখানে বিস্তৃত অন্তরীপে
সমুদ্র ভরিয়া গেছে;- যেইখানে সিন্ধু শুধু সমুদ্রের বুকে এসে পড়ে,
দৈত্যের হাতের মতো হাত তার তুলে দেয় অন্য এক দানবের হাতে;
যেখানে প্রবল সিন্ধু পরিচ্ছন্ন ভোরবেলা কিম্বা এক অন্ধকার রাতে;
জীবন্ত সিন্ধুর ঢেউ মৃত্যুর বিছানা পাতে যেইখানে সমুদ্রের জলে;
নেকড়ের মতো কাঁদে যেইখানে রুষ্ট হাওয়া ব্যথা পেয়ে নক্ষত্রের তলে;
সমুদ্র কেবল চলে,- একদিন চলেছিল তারা সেই সমুদ্রের সাথে-।

বিপদ জড়াতে তারা গিয়েছিল,- বিপদের বুকে যেই রয়েছে বিস্ময়
তাহার আস্বাদ পেতে খুঁজেছিল দূর মধ্য সমুদ্রের জলের গহ্বর!
যেই নক্ষত্রের খোঁজে সমুদ্র ভাঙিয়া পড়ে অন্য এক সমুদ্রের ‘পর;
আকাশের সব নক্ষত্রের শেষে তবু যেই নক্ষত্রের স্থল প’ড়ে রয়;
সবচেয়ে দূর নক্ষত্রের চোখে যেই এক স্বপ্ন ভেসে আসে
আরও দূর নক্ষত্রের;- সব আকাশের শেষে কোনও এক পশ্চিম আকাশে
যে নক্ষত্র জেগে আছে;- সব সমুদ্রের শেষে কোনও এক পশ্চিম সাগরে
যেখানে দিনের আলো নিভে যায়;- যেখানে সন্ধ্যায় নক্ষত্র স্নান করে
পূর্ব সমুদ্রের মতো তারা ভেসে যেতে চেয়েছিল সেই দূর পশ্চিমের সমুদ্রের পাশে-।