অঘ্রান

অঘ্রান-খেতের দিকে চেয়ে থেকে টের পাই ওখানে এখন
নীরব কাস্তে নাচে স্তব্ধ কৃষকের হাতে- বিকেলের আশ্চর্য আলোয়
পশ্চিমে ফিরোজা সূর্য টের পায় জলের রঙের ইঁদুরেরা
নিজেদের নীড় ছেড়ে চ’লে যায় সম্মুখীন ফসলের দিকে
ফড়িঙেরা স’রে যায় আধেক কাস্তের শব্দে ভয় পেয়ে
ততোধিক মুগ্ধ হয়ে হেমন্তের সংস্কারে- বায়ুর ভিতরে
উবে যায়- যেন তারা সবুজ শরীর নিয়ে জন্মেছিল এক দিন
অনুভব করা যায় এখন বিকেলবেলা সমস্ত শূন্যের দিকে চেয়ে
যে-পাখি দিনের কাজে উড়ে গেছে- খেতের ভিতরে
নিজের কুলায় রেখে তাহার ধবল, নীল (ফুটফুটে) ডিম
শিশুদের লজেঞ্চুসের মতো করুণায় আবিষ্কৃত হয়
চাষী নয়- অন্য কারু চোখের নিকটে
এই সব ব্যাপারের পরে গোল সূর্যের নিরুত্তেজ, প্রবীণ আলোর
রঙ পড়ে- কাস্তের শব্দ ক্রমে শূন্য হয়ে যায়।