অঘ্রানের বিকেলবেলায়

এ-রকম শব্দহীন অঘ্রানের বিকেলবেলায়
পৃথিবীর এই দূর গণনাবিহীন কোণে হেঁটে
অস্পষ্ট উষ্ণতা এসে লেগে থাকে আকাশের গায়ে
সাতটি বামন ক্রমে হয়ে আসে আরও ঢের বেঁটে
যতই শতাব্দী মিহি হয় এই পৃথিবীর পথে
প্লেটোরও ধবল দাড়ি নীলাভ গিলেট দিয়ে কেটে
অনুভব করি আমি এয়োরোড্রোমের থেকে কাছে
প্রত্যুত্তর হয়ে সেই অনুভূতি নিজের কৌশলে জেগে আছে
কোথাও রেখার মতো সাদা চাঁদ রয়ে গেছে- প্রান্তরের ফালি
সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে বিকেলের ঘাসে লেগে রয়
নিকটেই এয়োরোড্রোমের দমদম
এখানে ফড়িং, কাশ, প্রজাপতি রয়েছে তন্ময়
শীতের বিকেল এল ব’লে কোনও অথর্ব, সুন্দর
নিয়মের প্রতিভায়; নিয়মের ভয়
বসন্তের নেই, তবু জীবাণুর কোলাহল, গ্রীষ্মের ব্যস্ততা
সময়ঘড়িকে ভেঙে জানাতেছে আপনার প্রথা
ঝড়ের ভিতর থেকে নেমে এসে মৃদু হয়ে শোলার মতন।
একটি নিরীহ রং বাংলা’র ব্যথিত আকাশে:
শালিখ পাখির প্রেম, বিকেলের আলো, সাদা মেঘ
আগুনের মতো ক্রমে লাল হয়ে আসে
পায়ের নিচের লোষ্ট্র থেকে দূর নক্ষত্র অবধি
ব্রহ্মা’র প্রতীক সব- অঘ্রানের নিঃশব্দ বিন্যাসে
এখানেও স্বস্তি নেই জেনে নেয় ধ্রুব, স্বাতী, সরমার থেকে;
প্রতীক খসায়ে নিয়ে আগুন ও গ্লিসারিন হল একে-একে।