অগ্নি

অগ্নি যেন একদিন ছিল তার ঘোড়ার মতন
অগ্নি যেন একদিন বিদূষক ছিল তার
ভৌতিক বাতাসের মতো এই ভাতনুনহীনতায় অব্যয় পাহাড়
পার হয়ে গেছ চ’লে একদিন- তাই
অগ্নিসার বাতাসের মতো কিছু আছে নাকি, হে স্থবির
হে যুবক অগ্নি আর তরঙ্গের মতো কিছু নাই ক’ গভীর
হে রমণী বায়ু আর পুষণের মতো কিছু নাই

শীত রাত এলে, হে রমণী
তা হ’লে প্রদীপ জ্বালো, মক্ষিকার কাছ থেকে মোম চেয়ে নিয়ে
তোমাকে যে যষ্টির মতো ভাবে ইক্ষুর
কিংবা ভাবে সাত বোন নক্ষত্রের মতন সুদূর
তোমার চিবুক যেন অগ্নির ব্যবহার
পৃথিবীর মনীষাকে রাখুক জাগিয়ে-

রাঙ্গা কয়লার মতো উনুনের
ঘাসের অগ্নির মতো বেদিয়ার চোখে
প্রদীপের মতো যেন কুলুঙ্গির- বাদুড়ের- রাত্রির পাশে
যত অগণন কালো বাদুড়ের বিম্বে কাঠ লাল হয়ে
জ্বলে সারি-সারি
অগ্নির উল্কার মতো তোমার মেধার রেখা নারী
মুখাবয়বের স্রোতে ভাসে।