অঘ্রান-রাতের চাঁদ

এখন হয়তো কংগ্রেস-মণ্ডপের কাজ শেষ হয়ে গেছে
এত ক্ষণে যুবক তার প্রণয়িনীর কক্ষ ছেড়ে চ’লে গেছে
রাস্তার কিনারে ধুলোর গন্ধ
এক-আধ ফোঁটা শিশিরের শব্দ
একটা পুরোনো শেফালি-গাছের শেষ প্রসবের মৃদু উত্তেজনা থেকে
উদ্ভূত অন্ধকার উদ্ভূত বেদনা
ঘুমের ভিতর যুবাকে ডেকে নিয়ে গেছে
ভাষ্যকার এখন আর জঙ্গম-সত্তার রহস্য খুঁজছে না
নিজেই সে স্থাবর-সত্তা কোনও ধূসর মশারির ভিতর
সোনালি চিল এখন ঘুমিয়ে রয়েছে- কোনও দিন আর জাগবে না জেনে;
উঁচু তিত্তিরাজের ঘনিমার ভিতর
সন্ধ্যারাতে যে-শেয়াল হাঁস চুরি করেছিল
একটা মস্ত বড় শিশু-গাছের সাদা ছায়ায়
তন্দ্রা এসেছে তার চোখে;
হাঁসের রক্ত সে কোনও দিন খাবে না আর

কিন্তু এই প্রান্তরের কিনারে আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি
তুমি আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছ অঘ্রান-রাতের চাঁদ
পৃথিবীর সমস্ত বীর ও বীরাঙ্গনাদের সঙ্গে রৌদ্রে মুখ পুড়িয়ে নিয়ে
সফলতার কাজে ব্যস্ত ছিলাম সারা-দিন… (কমরেড হয়ে গিয়েছিলাম)
তার পর উজ্জ্বল ব্যর্থতার মতো আকাশের অন্ধকার (যবখেতের) কিনারে তুমি দেখা দিলে

শেয়াল যে-হাঁস খেয়েছিল তার সুবর্ণ আত্মার মতো
কোনও এক রুপালি নদীতে স্নান ক’রে
আমার হৃদয়কে রূপহীন নদীহীন বিমূঢ় পাপের ব্যথায় নিমজ্জিত ক’রে
আকাশের খেতের ভিতর থেকে আরও দূর সুপক্ক যবের খেতের দিকে
কোথায় হারিয়ে যাচ্ছ তুমি-