আমিষাশী তরবার

স্মৃতিই মৃত্যুর মতো;- ডাকিতেছে প্রতিধ্বনি গম্ভীর আহ্বানে
ভোরের ভিখিরি তাহা সূর্যের দিকে চেয়ে বোঝে।
উঁচু মঞ্চে বিধাতার পরিত্যক্ত সন্তানেরা জানে;
পাণ্ডুলিপি, যব আর সোনার ভিতরে তারা খোঁজে

অবহিত প্রতীককে। কে দিয়েছে স্মৃতি এই বিকীর্ণ হৃদয়ে:
কোনও- কিছু অবলুপ্ত পিপাসার অন্ত্যজ ধারণা?
বৈশালীর থেকে বায়ু জাহাজের মুখে আজও বহে;
প্রাকৃত নাবিকাধম মাস্তুলের পিঠ ঘেঁষে দুপুরের রৌদ্রে অন্যমনা

চেয়ে থাকে। চারি-দিকে নবীন যদুর বংশ ধ্ব’সে
কেবলি পড়িতে আছে;- সংগীতের নতুনত্ব সংক্রামক ধুয়া
নষ্ট ক’রে দিয়ে যায়;- সঙ্গে এসে জয়দ্রথ-মুণ্ড পড়ে খ’সে;
স্মৃতির ভিতর থেকে জন্ম লয় এই সব গভীর অসূয়া।

জেনেছে বরুণ, অগ্নি, নরনারী: কর্মক্ষম জীবনের শেষে
এক পাল ভেড়া ল’য়ে হেমন্তের মাঠে
শান্তি সারাৎসার নয়;- আলো জ্বেলে শকুনি মামার সাথে হেসে
নগরীর রাত্রি চলে- আমিষাশী তরবার হয়ে তার প্রভাতকে কাটে।