অমোঘ আঁধার রাতে

অমোঘ আঁধার রাতে
সাগরের চিতা ঢেউয়ে
ফেনার উপর দিয়ে ভেসে যেতে-যেতে লক্ষ-লক্ষ মাইল
পাখিদের প্রাণে মৃত্যু আসে
সূর্যমন্দিরের পাটাতনে লোক কোলাহলে জেগে আমরাও
আমাদের পাঁজরের তলে সেই নিশিত সমুদ্র আবিষ্কার করি।

কারও সাথে মধ্যাহ্নের ক্ষমাহীন পথে
বারবার চোখাচোখি হয়
সেই চোখাচোখি: মৃত্যু।

কোনও এক প্রেম আমার দেহের সাথে নিভে গিয়ে
রজনীর প্রিয়তম জল হ’ল না ক’
কিষাণের শস্য ঘরে যাবে- সোনা হবে
তবুও ঠিকানা তার গোলকধাঁধার পথে
এই বিমূঢ়তা;
ঢের দূর থেকে পর্বতকে নীল ব’লে মনে হয়
নীলিমার এই অসহায়, অনৃত আচার;
প্রস্তরিত
এইসব মৃত্যু;
এই মৃত্যু মহোৎসব
অবিকল ব্রহ্মপুত্র ঢেউয়ের উপর দিয়ে একপাল বেঘরা পাখির মতো
আমাদের ধীর বায়ু বিতাড়িত ক’রে চালাতেছে
আরও দূর অসম্ভব সমুদ্রের হেঁয়ালির দিকে।

তবুও আহ্নিক কাজ আমাদের
নিভৃতের তরে নয়- নিখিলের তরে।
অদম্য অঙ্গার হয়ে যায় সব
জীবনের মেঝের উপর দিয়ে আগুনের মতো জ্বলে-
হে পুষা, তোমার নয়-
মৃত্যুর আমোদে ক্রম স্ফীয়মান স্ফুলিঙ্গের মতো।
যারা পিছে আসিতেছে
তাহাদের লোক উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে
আমাদের লীয়মান আলোককে তবু
হে পুষা, তোমার জ্যোতি ব’লে তারা চিনিবে না কোনও দিন।