অন্ধকার নিশীথ

শুধু অন্ধকার নিশীথ মাথার ‘পরে রবে
প্রান্তরের সুপ্ত ঝিঁঝি সাক্ষী শুধু রবে
তার পর তুমি এক গোধূমের খেত যেন বাতাসের মতো
দূর-স্থির-হেমন্তের প্রভূত শিষের তরে অপেক্ষায় রবে না ক’ আর
কোনও দূর গোধূলির মালভূমি জিনে নিয়ে
বাতাসের মতো ক’রে আপনাকে চিনে লবে, প্রিয়ে
চুম্বক-গিরিও দীর্ঘশ্বাস ফেলে বুঝে নেবে স্খলিতের
লঘু- লঘু- লঘু ব্যবহার
হাতির-দাঁতের গড়া কোনও এক প্রকোষ্ঠের মাঝে
সময় রয়েছে ব্যাপ্ত- অবহিত ঘড়ি নিয়ে
ধুলো আর ফুরোবার কাজে
চলো, মোরা দেশলাই দিয়ে এই দিনরাত্রি কম্পাসের তামাশাকে জ্বেলে
কোনও এক নতুন পৃথিবী গড়ি- তীক্ষ্ণতায়-
বাবুই রচিছে নীড়- যেই স্থির সরিষার মতো ক্ষুদ্র বিনিয়োগ নিয়ে
আমাদের তুলাদণ্ডে তার দান হবে না ক’ ঠিক তুচ্ছ সরিষার মতো
সময় পাবে না আর আমাদের
সমস্ত সিন্ধুর বড় অন্ধকারে এক-রাশ বিড়ালের নখ নিয়ে
যদিও সে খুঁজিবে সতত।