অনেক আগের কথা

অনেক আগের কথা ব’লে মনে হয় এই সব
সময় কোথাও তবু সর্বদাই গ’ড়ে যায় নীড়
যখন হেমন্ত আসে পুনরায় নদীর নিকটে
মানুষ এসেছে ব’লে শশব্যস্ত বেজি’র শরীর

বিকেলের ঢালু আকাশের গায়ে ফসলের চাঁদ
মানুষের চেয়ে আগে তিতিরের চোখে
ধরা দিয়ে দেখে নেয় সারা-রাত নতুন পৃথিবী
তার পর নিভে যায় সূর্যের আলোকে

এখানে শব্দ নেই; আমি এলে খানিকটা নাড়ির কম্পন।
আমার মৃত্যুর পরে অধিক নির্জন রবে পথ
সর্বদাই তবু কিছু সংঘটিত হয়ে যায় ব’লে
এখানে প্রতিটি মেঘ আপনার চেয়েও মহৎ

ছাতকুড়ো গায়ে মেখে কয়েকটি উঁচু গাছ দাঁড়ায়ে রয়েছে।
শ্যাওলায় ম্লান হয়ে কয়েকটি সামান্য পাথর
এইখানে চোখ বুজে নিয়ে আমি বিশ্বাস করেছি
মানুষের প্রেম তার ঘড়ির চেয়েও মহত্তর।

নীলিমা বিছায়ে আছে ব’লে সাদা বড়ো মেঘ এই
সহসা নদীর জলে (হয়ে ওঠে) চেনা কলমির মতো ঢেউ
এখানে হৃদয়ে কোনও অকারণে প্রেম নেই- নেই
নদীর জলেতে মেঘ সাথে যায়- বয়স্কতা ভাবে কেউ।

এখানে তোমার সাথে হৃদয়ের কাজ ছিল ব’লে
সহসা তোমার মৃত্যু ক্রমেই হতেছে মহত্তর।
পাখিদের কালো রঙে দীর্ঘছন্দ ঠোঁটে দীর্ঘতর স্মৃতি
মানুষকে কাছে পেয়ে- অবিনশ্বর।