অনেক আশ্চর্য বন্ধু

অনেক আশ্চর্য বন্ধু চ’লে গেছে
দানবীয়, জান্তব, মানবিক
মাঘের গভীর শীতে আসন্ন আকাশে মেঘ- মাঝরাতে
এক-আধ ফোঁটা লোল বৃষ্টি নিয়ে
স্থির হয়ে আছে
মনে হয় আর যেন পৃথিবীর শেষ দিন
ঢের জমির উপড়ায়ে পৃথিবীকে ক্লান্ত ক’রে চ’লে গেছে
ঢের দিকনির্ণয়ের যন্ত্র নিয়ে পরিমাপ শেষ হ’ল
(ক’রে গেছি- পৃথিবীকে, সময়কে)
সকলেরই; কোনও ক্ষুব্ধ আত্মা নাই আর।
অনেক গভীর জ্ঞান পেয়ে গেছে পেঁচা ও মানুষ
তার পর হিম রাত্রি; দিকে-দিকে প্রস্তর-যুগের পর্বতেরা
মানুষকে অবহিত হতে বলে
আহ্নিক গতির সাথে মিশে গিয়ে পৃথিবীর
ধীরে-ধীরে লোষ্ট্র হয়ে যেতে। জঙ্গলের জন্তুরাও যূথে
সেই স্থির অনুভাবে কুয়াশার ফাঁক থেকে চেয়ে আছে
গভীর সোনালী ব্যাঘ্র, দেখো-
কেমন বিবর্ণ হয়ে গেল। বনমোরগের পাখা
কমলা রঙের অগ্নি ধীরে-ধীরে নিভাতেছে তুষের খোসায়
প্যারাফিন দিয়ে যারা মূর্তি সৃষ্টি ক’রে
খানিকটা উষ্ণতা চায় তারা; ধূসর প্রশান্ত হিম- তার পর
মেরুসমুদ্রের দেশে কোনও অগ্নি নাই। আলো নাই।
অনন্ত বরফ থেকে যেই জ্যোতি বার হয়
তা-ই সূর্য। পূর্ণ সমুজ্জ্বল কাস্তে। অঘ্রান ফসল।