অনেক ঘুরেছি আমি

অনেক ঘুরেছি আমি পৃথিবীতে- তবু এক দিন
দেউলিয়া শহরের জানালার ফাঁকে
সহসা নির্মল এক মুখ দেখা গেল
সে-রকম ভাস্বরতা থাকে
চাপেলি-মাছের বুকে নদীর ভিতরে
যখন সেখানে এসে প্রথম ভোরের রোদ পড়ে

হাত ইশারায় তারে ডাক দিতে গিয়ে
তবুও মোচড় খেয়ে ব্যবহৃত হাত
আমার এ-হৃদয়ের অন্ধকার স্থলে
কোনও এক কঙ্কালের উপরে আঘাত
সহসা আঘাত ক’রে বাজাল তাহাকে
প্রেমিকের কঙ্কাল বেজে উঠে তবুও পেয়েছে কবে কাকে

তবু সে নদীর জলে ভেসে গেল হংসী’র মতো
তাহার পিছনে পথ দিয়ে
আমার হৃদয় গেল পানকৌড়ি’র মতো ভেঙে
ভীষণ অমল ফেনা সূর্যে উড়িয়ে
ফেনার জননী তবু দিল না ক’ দেখা।
পৃথিবীর সব নদী ভয়াবহ ভাবে একা।

তবু সে-দেবিকা হয়ে দেখা দিল প্রান্তরের পারে
ভোরবেলা- শিশিরের শব্দের মতন
তেমন অব্যয় রূপ সাময়িক চোখে দেখে ফেলে
উত্তেজিত হয়ে গেল মানুষের মন
সময়ের সব শপথের মতো তার আভার পিছনে ছুটে গিয়ে
তবুও ঘুমের ঘোরে অস্পষ্ট মশা’র মতো ভুলে আমি দিয়েছি উড়িয়ে।