অনেক সময় পার হয়ে আমি আজ
এসেছি অনভিপ্রেত এই এক দেশে
কেউ একে মিরুজিন, কেউ লিয়ুনিম ব’লে অভিহিত করে
ব্রহ্মাণ্ডে থেকেও তবু এক তিল অন্তরালে ব্রহ্মা’র নির্দেশে
এই দেশ; অনেক ভুলের পথ- অনেক মোহের পথ- অনেক রক্তাক্ত পথ ঘুরে
তার পর এইখানে এসে
নিঃশব্দ জলের মতো আমার শরীর
চারি-দিকে বিকেলের আরশিতে ভিক্ষুকের ভিড়
বিঁধে কোনও সফলতা পাওয়া যেত অর্জুনের অথবা পাঞ্চালীর
বললাম, ‘ঠাকুর্দা,- এরা কারা- অগণন ভিড় চ’লে যায়, এ-সব ভিখিরি?
ছাই, কালো, ভুসির-রঙের তালি, আবার যেতেছে সব ছিঁড়ে
এদের কেমনতর আলখাল্লায়
লাল নীল হরিয়াল রঙের সব নানা-রূপ তালির খাতিরে
রিপু-কাজ ক’রে যায় আলো-হাতে প্রণয়িনী এসে ঘাড় কাত ক’রে চোখ বুজে
ডাকে নি তো ঢাকাই তাঁতীরে’
‘শিশু-কাল থেকে এরা নানা দিকে নানা রূপ প্রসাদের পথে
ঘুরেছিল। যাহাদের আঙুলের নখে টাকা শানিয়ে আরাম ব’লে শরীরে আরাম
চাকরদের- রয়ে গেছে- এরা আরও সবিশেষ তৃপ্তির ও রতির সন্ধানে
প্রমাকাম, সুবাজার চেয়ে ঢের হৃদয়ে আরাম
এসেছিল- নিরলস ভাবে তারা কৃতবিদ্য হয়ে তার পর
প্রীতির চেয়েও জ্ঞান চেয়ে নিল- পেল- জ্ঞানের চেয়েও বেশি অধিক-জ্ঞানের সুনাম
যেখানে যা নেয়- যেখানে যা পাওয়া যাবে পরিষ্কার ভাবে-
দেওয়া-নেওয়া হলে পরে যেখানে মনের সাধ পূরে
তেরো হাত বিচি চায়- পেল তবুও তো হাওয়াই কাঁকুড়ে।’